নিজস্ব প্রতিনিধি: সহস্র মাইল দূরের দেশ ফিনল্যান্ডের হেলসেঙ্কির স্কুল মিলনায়তনটি যেন রবিবার (১৪ এপ্রিল) রূপ নিয়েছিল একখন্ড রমনা বটমূল বা চট্টগ্রামের ডিসি হিল চত্বরে। বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্য পয়লা বৈশাখের প্রাণের উৎসবে মেতেছিলেন শত শত বাংলাদেশী নর–নারী। বৈশাখী মেলা, মঙ্গল শোভাযাত্রা আর নাচ-গান-আবৃত্তিতে তারা দেশের সংস্কৃতিকে তুলে ধরেছিলেন প্রবাসের বুকে। লোকসংস্কৃতির গানের সুরে ও নাচে বরণ করে নেয়া হয় বাংলা নতুন বছরকে। অনুষ্ঠানের নাম দেওয়া হয়েছিল “ইতিকথা”।
“উৎসবে বাঙালি” আয়োজিত পয়লা বৈশাখের এই অনুষ্ঠানের পর্দা ওঠে মঙ্গলশোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে। “এসো হে বৈশাখ” গান দিয়ে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এরপর কখনো কবিতা কখনো গান এবং নাচে মিলনায়তন মেতে ওঠে। ছিল হারিয়ে যেতে থাকা বাংলার ঐতিহ্যবাহী বায়স্কোপ ও পূথিগান। হারিয়ে যাওয়া পটচিত্র আর ঐতিহ্যবাহী রিক্সাপ্রিন্ট দিয়ে তৈরি করা হয় অনুষ্ঠানে স্টেইজ।
আউল-বাউল লালনের দেশে, গাড়ি চলে না চলে না, আমার বন্ধু চিকন কালিয়া, তোমারে দেখিবারে মন চাই, বাওকুমটা বাতাস, অমৃত মেঘের বারী, সর্বত মঙ্গল রাধে গানে মেতেছে দর্শকরা। কমলা নৃত্য করে নাচে অংশ নেয় বাঙালি কিশোরের সাথে ফিনিশ কিশোরী কিংবা পিন্দারে পলাশের বন, কেউ পরিবেশন করেন বসন্ত বহিলো সখি নাচ। এ ছাড়া বেহুরে লগন, রঙ্গিলা মন, উতম ফেগে মেঘে গানের সঙ্গে নাচে অংশ নেন শিল্পীরা । সবশেষে গ্রামের নওজোয়ান দলীয় গানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্ত হয়। অংশগ্রহনকারী শিল্পীদের নাচ ও গানের সাথে কম নাচেনি মিলনায়তনে আগত দর্শকরা।